স্বামী-স্ত্রীরর সম্পর্ক ভালো রাখার সেরা ৫ উপায় জেনে নিন

সব বিবাহিত দম্পতি তাদের বিয়ের বন্ধন শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শের খোঁজ করেন। যখন বোঝাপড়ার চেয়ে ঝগড়াঝাটি বেড়ে যায়, তখন দম্পতিরা সাধারণ বিয়ে সংক্রান্ত উপদেশ মেনে সমস্যা সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে। কিন্তু স্টেরিওটাইপিক্যাল পরামর্শ সবসময় সহায়ক হয় না, বিশেষ করে যদি সমস্যাটি বড় এবং জটিল হয়। নতুন দম্পতিদের বিয়ে সংক্রান্ত উপদেশগুলো মন দিয়ে মানতে হবে, যা তাদের অত্যন্ত সাহায্য করবে। দম্পত্তিরা সম্ভবত আগে শোনেনি, এমন কিছু কার্যকরী পরামর্শ এখানে প্রকাশ করা হলো-

উদ্দেশ্য

কাজ কিংবা কথা নয়, এর পেছনের উদ্দেশ্য দেখুন। সব সময় মনে রাখুন এবং ধরে নিন যে আপনার সঙ্গী আপনাকে আঘাত করার মতো কিছু করবে না। এতে হতাশা, দোষারোপ এবং অপরাধবোধ অনেকাংশে কমে যাবে। আপনার সঙ্গীর সব কাজ ইচ্ছাকৃত নয় তা জানা থাকলে ঝগড়াঝাটির সময় বলা কথা নিয়ে পরবর্তীতে ঝামেলা হবে না। যদি জানেন যে তিনি আপনার প্রতি ইতিবাচক, তবে তাকে ক্ষমা করাও সহজ হবে।

My Happiness

অর্থ নিয়ে ঝগড়া নয়

টাকা নিয়ে ঝগড়া করবেন না। দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়াঝটির সবচেয়ে বড় কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো অর্থ। দম্পতিরা একে অপরের ব্যয়ের অভ্যাস নিয়ে ঝগড়া করার বদলে দুজন মিলে সমাধান খুঁজতে পারে। এতে দুজনেরই কিছু কিছু ছাড় দিতে হতে পারে। তবে দিনশেষে সম্পর্ক সুন্দর থাকবে।

কৃতজ্ঞতা দেখাতে হবে।

দম্পতিদের একে অপরের প্রতি আরও কৃতজ্ঞতা দেখাতে হবে, এমনকি ঝগড়াঝাটি করে বা তর্ক করার সময়েও। একসাথে খারাপ এবং ভালো মুহূর্তগুলোকে সমানভাবে উপলব্ধি করতে শিখুন। এটি বুঝতে সাহায্য করে যে বিয়ের সম্পর্ক সফল হতে উভয় পক্ষের সমর্থন ও পরিশ্রম থাকা চাই।

ছাড় দেওয়া

কখনও কখনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনকে ছাড় দিতে হতে পারে। একজনই সব সময় প্রভাব ধরে রাখতে পারে না। দক্ষতার ওপর নির্ভর করে দায়িত্বের বন্টন করা যেতে পারে। সম্পর্কে ভালোবাসা থাকলে একে অপরকে প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে না।

সময় কাটানো

স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সঙ্গে আরও বেশি করে সময় কাটানো উচিত। এটি অনুভূতির ভুল ব্যাখ্যার সম্ভাবনা হ্রাস করে। ক্লান্তিকর দিনের পরে যখন তার কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করবেন, দিনটি কেমন ছিল? তখন সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার অনুভূতি প্রকাশ করবে।

ভালোবাসা চিনতে পারা যায়? না চিনলে মানুষ ভালোবাসায় জড়ায় কী করে! তবু প্রেম যখন আসে, যখন আসে তখন ভেঙেচূড়েই আসে। হৃদয়ের ভেতরে ঝড় বয়ে যায়। সেই ঝড়ে আর আগের মানুষটা টিকে থাকতে পারে না। প্রেম এসে বদলে দেয় ভেতর-বাইরে অনেককিছুই। যেহেতু হৃদয়ের বিষয়, তাই একে হেলাফেলা করা উচিত নয়। প্রেমে সাধারণত মানুষ বারবার পড়ে না।
 
একটি সম্পর্ক একদিনের জন্য হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লক্ষ্য থাকে তা সারাজীবন টেনে নেওয়ার। কিন্তু সবাই পারেন কি? হয়তো পারেন, হয়তো পারেন না। যারা পারেন না তাদের ক্ষেত্রে নিজের ভালোবাসার মানুষকে চিনতে না পারাটা একটি বড় কারণ হতে পারে। তাই ভালোবাসার মানুষটিকে আগেভাগেই চিনতে পারা ভালো। এতে ভালোবাসা ভালো থাকে।

যদি সে আপনাকে ভালোবাসে, আপনার কথা সারাক্ষণ না ভাবলেও দিনের মধ্যে কিছুটা সময় আপনার জন্য ভাববে। আপনাকে মিস করবে। এবং এই কথা সে আপনাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করবে। সে কাজের ফাঁকে ফাঁকে আপনার সঙ্গে একটু হলেও কথা বলার সুযোগ খুঁজবে। এই বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখুন। তবে সবারই ব্যস্ততা থাকে। তাই তার ব্যস্ততার প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। অকারণে অভিমান করবেন না। যদি সে পর্যাপ্ত সময় পাওয়ার পরও আপনাকে একদমই সময় না দেয়, তাহলে হতে পারে সে আপনার জন্য সঠিক মানুষ নয়।
আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া

সে কি আপনার মতামতের গুরুত্ব দেয়?

ভালোবাসার মানুষের কাছে আপনার কথা কিংবা মতামতের গুরুত্ব অবশ্যই থাকবে। সে যদি আপনার কোনো কথা কানেই না তোলে কিংবা শুনেও না শোনার ভান করে থাকে তবে বুঝে নেবেন তার কাছে আপনার মতামতের গুরুত্ব এতটুকু নেই। এখন আপনি যখন একজন সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ, আপনারও নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। তাই ভালোবাসার মানুষটির কাছে আপনার মতামতের গুরুত্ব থাকা জরুরি। নয়তো একসঙ্গে পথচলা দুঃসাধ্য হয়ে যাবে

সে আপনাকে ছোট করে কথা বলে না তো!

ভালোবাসার মানুষটিকে মানুষ নিজের মতোই ভালোবাসে। তাই যাকে ভালোবাসে তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কখনো ছোট করে কথা বলতে পারে না। কারণ সে তো নিজেরই অংশ। তাই তাকে ছোট করা মানে নিজেকেই ছোট করা। যদি আপনার ভালোবাসার মানুষটি আপনাকে ছোট করে কথা বলার চেষ্টা করে তবে বুঝে নেবেন সে আপনার ভালোবাসার মানুষ হতেই পারে না। কারণ ভালোবাসলে সে আপনাকে নিজেরই অংশ বলে ভাবতো।

আপনাদের লক্ষ্য কি এক?

জীবনে লক্ষ্য থাকা জরুরি। নয়তো মানুষ কিছুটা দূরে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে। আর সেই লক্ষ্যের সঙ্গে ভালোবাসার মানুষটির জীবনের লক্ষ্যে মিল থাকা জরুরি। কিছু অমিল থাকাই স্বাভাবিক। অন্য কেউ কখনো পুরোপুরি আপনার মতোই হবে না। কিন্তু জীবনের লক্ষ্যে যদি আগাগোড়া অমিল থাকে, সেই পথে এগিয়ে যাওয়াই সম্ভব নয়। তাই খেয়াল করুন, আপনাদের লক্ষ্যে মিল আছে কি না। থাকলে ভালো, না থাকলে আরও একবার ভেবে দেখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url