ভূমিকম্পের সময় করণীয় ও সতর্কতা -ভূমিকম্প মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি

ভূমিকম্পের সময় সম্ভব হলে মাথার উপর শক্ত করে বালিশ অথবা অন্য কোন নরম বস্তু ধরে রাখুন। বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং গ্যাস সংযোগ হইতে দূরে অবস্থান নিন। উচ্চ ভবন থেকে নিচে নামার জন্য লিফট ব্যবহার করবেন না। ভূমিকম্পের সময় গাড়িতে থাকলে কোন ফাঁকা জায়গায় অবস্থান নিন এবং গাড়িতেই থাকুন।
ভূমিকম্পের সময় করণীয় ও সতর্কতা

ভূমিকম্পের সময় করণীয় ও সতর্কতা

  • ভূমিকম্পের সময় কোন খোলা জায়গায় আশ্রয় নিন
  • ঘরে হেলমেট থাকলে মাথায় পড়ে নিন অন্যদেরও পড়তে বলুন।
  • দ্রুত গ্যাসের সুইচ এবং বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করে দিন।
  • কোন কিছু সঙ্গে নেওয়ার জন্য অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
  • যদি আপনি আপনার ঘর থেকে বের না হতে পারেন সে ক্ষেত্রে ইটের দেওয়া পাকা ঘর হলে ঘরের কোনায় এবং কলামের তৈরি ভবন হলে কলামের গোড়ায় অবস্থান নিন।
  • আপনার বাসাটি যদি আধাপাকা বা টিন দিয়ে তৈরি হয় সে ক্ষেত্রে ঘর থেকে বের না হতে পারলে শক্ত খাট বা চৌকির নিচে আশ্রয় নিন।
  • গাড়িতে থাকলে যতদূর সম্ভব নিরাপদ স্থানে যান ।
  • কখনো সেতুর উপরে গাড়ি থামাবেন না।

ভূমিকম্প মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি

ভূমিকম্প এমন একটি দুর্যোগ যেটি কখনো অগ্রিম কোন বার্তা দিয়ে আসে না। এই প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় মানুষের কিছুই করার থাকে না। তবে ছোট ভূমিকম্প গুলো হচ্ছে বড় ভূমিকম্প পূর্বাবাস।
এটিকে আমাদের আগাম বার্তা হিসেবে ধরে নিতে হবে।
 
এক্ষেত্রে কোট এর নিয়ম মেনে বেডিং নির্মাণ করতে হবে। ভূমিকম্প যে কতটুকু ক্ষতি করতে পারে তার সবথেকে বড় উদাহরণ হচ্ছে তুরস্ক ও সিরিয়া। ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ 7.8 মাত্রায় ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে যে পরিমাণ বিপর্যয় ঘটেছে তা আপনাদের সবারই জানা।

৫২ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এই ভূমিকম্পটিতে। এতে প্রায় ১ লক্ষ ৭৩ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়ে গিয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে জানা যায় যে ৬ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হলে ঢাকা সহ বড় অঞ্চল গুলোর অধিকাংশ বাড়িঘর স্থাপনা ধসে পড়বে। এটি রোধ করতে হলে আমাদের প্রতি বছরই ভূমিকম্প থেকে বাচার উপায় গুলো সম্পর্কে মহড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

তাই ভূমিকম্প বিষয়ক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য সরকারের সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।বাংলাদেশে ভূমিকম্প মোকাবেলার প্রস্তুতিসম্প্রতি তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে এজন্য আমাদের মধ্য অত্যন্ত আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় অবস্থান করছে।

 আসামে ১৯৮৭ সালে একটি বড় ভূমিকম্প হয়। এর অনেকটা প্রভাব বেশ বাংলাদেশের পরে ছিল।
ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আইন নামনে বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণ করার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। আমার মতে ভূমিকম্প থেকে বাঁচার জন্য আমাদের অবশ্যই আইন মেনে ভবন নির্মাণ করা উচিত।

 ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকালার জন্য বিভিন্ন বেসরকারি সরকারি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যসেবা প্রধান কারী প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।ফায়ার ব্রিগেড হাসপাতাল সিটি কর্পোরেশন স্বেচ্ছাসেবক সবাইকে দুর্যোগ পূর্ববর্তী কালীন করণীয় সম্পর্কে নিয়ম মত প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

ভূমিকম্প কেন হয়

১৯৫২ সালে একজন জার্মান বিজ্ঞানী আলফেড ওয়েগনার পৃথিবীর মানচিত্র পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্ত নেন যে একসময় পৃথিবীর মহাদেশ গুলো একত্রে ছিল, এগুলো ধীরে ধীরে একে অপরের থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। ওয়েগনার এই তত্ত্ব কে কন্টিনেন্টাল ডিফট বলে।

এই তত্ত্ব বলে পৃথিবীর উপলৃত কতগুলো অম্ল প্লেটে সমন্বয়ে গঠিত হয়। এই প্লেটগুলোকে বলা হয় টেকটনিক প্লেট। যা একটি পাথরের স্তর। ভূত্ত্বের যা কিছু রয়েছে তা সবগুলোই এই প্লেট এর উপরে অবস্থিত। এগুলো প্রায় নিজেদের মধ্যেও ধাক্কা খায়। যখন এগুলো একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায় তাদের মধ্যে একটি ধর্ষণের সৃষ্টি হয়।

এই ধর্ষণের মাত্রা অধিক হলে এতে এক ধরনের শক্তি নির্গত হয়, যা ভূস্তর কে কম্পিত করে। এসব বিশাল আকারের টেকটনিক প্লেটগুলো যখন একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায় তখন কেঁপে উঠে মাটির নিচের তলদেশটি। তখনই আমরা ভূপৃষ্ঠের উপরে ভূকম্পন অনুভব করি।

ভূমিকম্পের প্রকারভেদ

ভূমিকম্প সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে
একটি হচ্ছে শারীরিক তত্ত্ব P তরঙ্গ এবং S তরঙ্গ
আরেকটি হচ্ছে
পৃষ্ঠ তরঙ্গ L তরঙ্গ এবং R তরঙ্গ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url