খেজুর কেন খাব খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

খেজুর কেন খাব কথাটা শুনতে কেমন জানি লাগলেও অনেকেরই জানার থাকে খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সবকিছু আলোচনা করব আমার এই পোস্টে। আমরা প্রতিনিয়ত যেসব খাবার খাই এগুলোর মধ্যে খেজুর হচ্ছে অন্যতম। খেজুরে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে। খেজুরে প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি থাকে যে কারণে এটি চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
খেজুর কেন খাব খেজুর


খেজুর কেন খাব

খেজুর আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার। খেজুরে অনেক পরিমাণে ফাইবার ও আয়রন থাকে যা আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে। এটি আমরা চিনির বিকল্প হিসাবেও ব্যবহার করতে পারি। কারণ খেজুর প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হয়ে থাকে। খেজুরের প্রাকৃতিকভাবে নানা ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। নিয়মিত খেজুর খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি হয় ।খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এটি আমাদের রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে।
খেজুরের সোডিয়াম ও অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যা আমাদের হৃদপিন্ডকের সাহায্য করে। খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে এটি আমাদের স্টকের ঝুঁকি কমায়। খেজুরে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন বি আমাদের শরীরের নারকে শান্ত রাখে এবং রক্তচাপ কমাতে অনেক সাহায্য করে। এজন্য আমি মনে করি যে যাদের রক্তচাপ আছে তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন এই ফল রক্তের শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এটি আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে রক্ত শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। খেজুর কেন খাব এই প্রশ্নের উত্তর এক কথায় জিতে গেলে আমি বলতে পারি যে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক আমাদের শরীরকে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং সব সময় সুস্থ থাকার জন্য খেজুর খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। খেজুরের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি থাকাই একে চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

খেজুরের মধ্যে যেসব ভিটামিন গুলো রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার প্রোটিন ভিটামিন বিটামিন কে ক্যালসিয়াম আয়রন ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম জিংক এবং ম্যাঙ্গানিক সহ আরো অনেক পুষ্টির সমাহার হচ্ছে খেজুর। খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে খেজুর অনেক উপকারী। খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় সেজন্য নরম এবং মাংসল যা সহজেই হজম করতে পারি আমরা। 

খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় যায় তার মধ্যে আরেকটি অন্যতম রোগ হচ্ছে খেজুর হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে খেজুরে রয়েছে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম যা হৃদরোগ রোগ প্রতিরোধ করে এবং স্টক এর ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

ইফতারে খেজুর কেন খাব ?

আমরা যারা ইসলাম ধর্মের ভাইরা রয়েছি আমাদের ইবাদতের অন্যতম মাস হচ্ছে মাহে রমজান। আমরা সারাদিন সংযম করে সূর্যাস্তের পর ইফতার করি। যুগ যুগ ধরে দেশে দেশে রমজানে ইফতারের সময় খেজুর খাওয়ার রীতি রয়েছে। আমরা একটু আগে জেনেছি যে খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এখন আমরা জানবো খেজুরের পুষ্টিগুণ খেজুর কেন খাব।
সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল হচ্ছে খেজুর। এটি আমাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে আমরা চিনির বিকল্প হিসেবে ধরতে পারি। খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আসে ৯০ ক্যালোরি এক গ্রাম প্রোটিন ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ২।৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। 

খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ক্রান্তি দূর হয়ে যায়। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি। যা মস্তিষ্কের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেক সহায়তা কজা।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

আমরা যদি বলতে যাই যে খেজুর খেলে কি কি উপকার হয় এবং খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এর কোন বিকল্প নেই। খেজুরে প্রচুর পরিমাণের এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও হৃদপিন্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ হচ্ছে খেজুর। আমরা খেজুর কেন খাব খেজুর খেলে কি ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়। পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক আঁশে পরিপূর্ণ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

 তাই যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যান্সারের ঝুঁকিটাও অনেক কম থাকে। খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তার মধ্যে আরেকটি অন্যতম রোগ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ। খেজুরা থাকা আয়রন ও ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্রচুর পটাশিয়াম পাওয়া যায় খেজুর থেকে। এটি আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়া মাত্র কয়েকটি খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয় এবং পাকস্থলীতে কম খাবার গ্রহণের উদ্যোক্ত করে আমাদেরকে। অল্পতেই শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করতে অনেক সাহায্য করে খেজুর।

খেজুরের পুষ্টিগুণ অধিক মাত্রায় থাকায় এটি আমাদের এনার্জি জোগাতে অনেক সাহায্য করে। খেজুরে সুগারের পরিমাণ এত বেশি থাকে খেজুরে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়।,এর মধ্যে আয়রন পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ফাইবার গ্লুকোজ ম্যাগনেশিয়াম থাকে। যে কারণে খেজুর খাওয়া মাত্রই ৩০ মিনিটের মধ্যে শরীরের এনার্জি বেড়ে যায়। সারাদিন রোজা রেখে শরীরের ক্লান্তি আসে তার দূর করে এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে খেজুর।

খেজুর খেলে কি মোটা হওয়া যায়?

আমাদের শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য খেজুরের কোন বিকল্প নেই। আমরা একটি খেজুর থেকে অধিক পরিমাণের ক্যালারি পেয়ে থাকে। যদি আমাদের শরীরের ওজন নাই বাড়াতে পারে তাহলে আমরা খেজুর কেন খাব। 
আমরা একটি খেজুর থেকে ২৩ কিলোক্যালারি পেয়ে থাকি এবং ১০০ গ্রাম খেজুর থেকে ২৮২ কিলো ক্যালরি পেয়ে থাকে এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি অল্প খাবার খেয়ে আমরা যথেষ্ট ক্যালরি পেতে পারি। খেজুর আমাদের ওজন বাড়াতে বা মাসেল বিল্ড করতে খুবই উপকারী একটি খাবার।

খেজুর খাওয়ার অপকারিতা

আমরা একটু আগে জেনেছি যে খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এখন আমরা জানবো খেজুর খাওয়ার প্রভাব। আমাদের শরীরের জন্য অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। এজন্য বেশি খেজুর খেলে আমাদের শরীরের অনেক রকমের ক্ষতি হতে পারে। মিষ্টি প্রকৃতির উৎস হিসেবে অন্যান্য খাবার থেকে ভিন্ন এক খাবার হচ্ছে খেজুর । তবে অতিরিক্ত খেলে বিপত্তি ও আছে। অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের ওজন অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে।

 খেজুরের নানা গুনাগুনের কথা শুনে যদি সকাল বিকাল খেজুর খাওয়া শুরু করেন তবে বিপদ আসতে খুব বেশি দেরি হবে না বলে আমার মনে হয়। কারণ মাত্র চারটি বা ১০০ গ্রাম খেজুরের মিলবে প্রায় ২৮২ কিলো ক্যালরি। পছন্দ মিষ্টি এই শুকনো ফল যদিও বেশি খেয়ে থাকেন তবে ওজন যে বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাই মাথায় রাখতে হবে ভালো খাবার অতিরিক্ত খাবার কারণে তা যাতে আপনার কাল হয়ে না দাঁড়ায়

আমার মতামত

ইতিমধ্যে আমরা জেনে গেছি যে খেজুর কেন খাব খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবং অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি রকমের সমস্যা হতে পারে। আমার মতে খেজুর হচ্ছে অন্য সব ফলের থেকে অনেক সুস্বাদু এবং অন্য রকমের একটি ফল। এটি আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে। এবং আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতেও অনেক সাহায্য করে। এটি আমাদের অনেক রোগ থেকে মুক্ত করে।

এটি যেরকম ভালো দিক আছে সে অনুযায়ী খেজুরের সেরকম কোন খারাপ দিক নেই। এজন্য আমি বলতে পারি যে আপনারা সবাই খেজুর খাবেন কিন্তু অতিরিক্ত খাবেন না। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আপনাদের শরীরের ওজন অনেকটাই বেড়ে যাবে। যদি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের একটু হলেও উপকার হয় অথবা আপনাদের কোন কাজে আসে তাহলে অবশ্যই আমার অন্য পোস্টগুলো পড়ে দেখবেন এবং আমাকে আপনার একটি কমেন্টের মাধ্যমে আপনার মন্তব্যটি জানাবেন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url