আম খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আম পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে। আমারদের সবচেয়ে প্রিয় একটি ফল। মানুষ
যেমন আম খেতে ভালোবাসে ঠিক তেমনি আম খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা আছে। আমি প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি থাকে। পাকা আম কাঁচা আম দুই অবস্থাতে আম খাওয়া
যায়। চলুন আজ আমরা দেখব আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আম- ভালবাসেনা এমন মানুষ খুঁজলে খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে। আমি আছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। ভিটামিন সি কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে যা
আমাদের ত্বককে সুস্থ রাখে। কোলাজেন প্রোটিন আমাদের ত্বকের বলিরেখা ও ব্রণের
সমস্যা দূর করে। এছাড়া আম চুলের সমস্যাও দূর করে।
আম খাওয়ার উপকারিতা
আম খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে কারণ পাকা আমে আছে আয়রন ক্যালসিয়াম ফসফরাস
ভিটামিন এ ভিটামিন সি থায়ামিন খনিজ লবণ ভিটামিন বি ভিটামিন এ। এগুলো আমাদের
শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার হয়।
- পাকা আমে থাকা তট তারিখ এসিড ম্যারিক অ্যাসিড ও সাইটিক অ্যাসিড আমাদের শরীরের রক্ত পরীক্ষা করতে সাহায্য করে।
- আমি প্রায় ২৫ প্রকার ক্যারাটিনোইটস উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে, যা ইউনিয়ন সিস্টেমকে সুস্থ ও সবল রাখে।
-
ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য খুব উপকারী আর আমের হয়েছে ভিটামিন এ। আপনি যদি
প্রতিদিন এক কাপ আমের জুস খান তাহলে আপনার শরীরের ২৫ পার্সেন্ট ভিটামিনের
চাহিদা মিটবে।
- ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে।
- আমি থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের শরীরের স্নায়ু কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীরকে সচল এবং সতেজ রাখে। যার ফলে আম খেলে আমাদের খুব দ্রুত ঘুম আসে।
- গাছ পাকা আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ যা আমাদের শরীরের দাঁত, নখ , চুল ,জবুত করে।
- আম্লোম এর গোড়া থেকে পরিষ্কার করে মুখের ও নাকের ব্ল্যাকহেড দূর করে। এছাড়া প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পাকা আম খেলে মুখের কালো দাগ দূর হবে।
- পাকা আম খেলে আমাদের টক সুন্দর ও মসৃণ হয় এটি আমাদের ত্বকের ভিতর ও বাইরে থেকে উজ্জ্বল করে। আম ত্বকের রুমের গুড়া পরিষ্কার করে ব্রণের সমস্যা সমাধান করে।
আম খাওয়ার অপকারিতা
পাকা আমের মত কাঁচা আম খাওয়ারও কিছু উপকারিতা রয়েছে। কাঁচা আম দিয়ে আচার বানানো
হয়। অনেকে আবার কাঁচা আমের শরবত খেতে পছন্দ করেন। কাঁচা আমের চাটনি বা কাঁচা আম
মাখা খেতেও বেশ মজাদার। কাঁচা আম শুধু স্বাদ না গুনেও অনন্য। নিচে কাঁচা আমের
কিছু উপকারিতা দেওয়া হল-
- মানুষের দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে গরম থেকে বাঁচতে সাহায্য করে কাঁচা আম। এছাড়াও হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় কাঁচা আম।
- অতিরিক্ত রোদের তাপ থেকে দেহকে রক্ষা করে কাঁচা আম।
-
পেটের সমস্যা যেমন- অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের মত সমস্যা কমাতে
কাঁচা আম বেশ উপকারী।
- কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদানগুলো শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- কাঁচা আমে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি থাকায় মুখের নানা রকমের ক্ষত শুকাতে ও মুখের নানা রকম সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁচা আম স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাত কমাতে সাহায্য করে।
- কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। তাছাড়া কাঁচা আমের থাকা লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য খুবই উপকারী।
আম খাওয়ার সঠিক নিয়ম
আম খেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। আম হল ফলের রাজা। আম কাঁচা পাকা সব অবস্থাতেই খাওয়া
যায়। আমে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ায়। এছাড়াও আম ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, আলফা-ক্যারোটিন এবং
বিটা-ক্রিপ্টোক্সানথিন সমৃদ্ধ যা আমাদের চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। আমে থাকা
পটাশিয়াম আমাদের হার্ট ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে।তাছাড়াও আমে থাকা পানি এবং
ডায়েটরি ফাইবার হজমের জন্য খুব ভালো কাজ করে। কিন্তু অতিরিক্ত আম খাওয়া আবার
শরীরের ঝুঁকি বাড়ায় তাই আম খাওয়ার সঠিক নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হল।
- আম জুস করে খাওয়া উচিত না। কারণ জুস করে আম খেলে তা থেকে ফাইবার ও পুষ্টিগুন অনেকটাই কমে যায়। তাই আম জুস করে না খেয়ে টুকরো করে খাওয়া উচিত।
- আমে চিনির মাত্রা বেশী থাকে। কিন্তু অন্যান্য উপাদান শরীরের জন্য ভালো কাজ করে। তাই ডাইবেটিস রোগীরা পরিমান মত আম খাবেন। অতিরিক্ত আম খাবেন না।
- আম শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। আপনি যদি শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে আম কম করে নিয়ন্ত্রিত পরিমানে খান। কেননা অতিরিক্ত আম শরীরের ওজন বাড়ায়।
- আম দুপুরে বা রাতে খাবার খাওয়ার পর খাওয়া ঠিক না, কারণ আম দ্রুত পেট ভরায় ও নিজেই পরিপূরক খাবারের কাজ করে।
- আম সকালে ও বিকালে খাওয়া উচিত। কারণ এটি পুরো এক সময়ের খাবারের চাহিদা মেটায়।
আমার মতামত
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আম খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা ও আম খাওয়ার কিছু অপকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। আমার মতে আম খাওয়ার যেরকম উপকারিতা আছে সেরকম
সামান্য কিছু অপকারিতাও থাকে। কারণ একটি জিনিস শুধু উপকার করবে আর কারো অপকার হবে
না এটি কখনো আশা করা যায় না। যদি আমার পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে
অবশ্যই আমার ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করবেন। আমাকে আপনাদের একটি সুন্দর
মন্তব্য জানিয়ে যাবেন যাতে আমি এরকম ভালো ভালো পোস্ট রাখার জন্য আগ্রহ হই।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url