নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক কি-বেশি পাকা কলা খেলে কি হয়
নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। যারা নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানেন না। এবং কলা খেলে কোন ক্ষতি হয় কিনা এগুলো বিষয় সম্পর্কে কোন ধারণা নেই আজকের এই পোস্টটি তাদের জন্য। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। কলা খাওয়া যেরকম অনেক খারাপ দিক আছে সেরকম নিয়মিত কলা খাওয়ার অনেক খারাপ দিকে রয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আমি অনুরোধ করছি।
নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা
নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। আমাদের সবারই সকালের নাস্তায় কলা একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান। কখনো আমরা এটিকে টিফিনেও দেখে থাকি। প্রতিদিন কলা খেলে আমাদের শরীরে অনেক রকমের উপকার দেখা যায়। হয়তো এটি বেশিরভাগ মানুষেরই জানা নেই। থাকে প্রয়োজনীয় অনেক রকমের ভিটামিন।
এ কারণে চিকিৎসকরা নিয়মিত কলা খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শরীরের শক্তির কোনো ঘাটতি দেখা দিলে কলা সেটিকে পূরণ করতে পারে। করায় থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি আরো অনেক ভিটামিন। এছাড়াও এই ফলে ডায়াটরি ফাইবার অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। এই ফলে কোন রকমের ফ্যাট থাকেনা বললেই চলে। এছাড়াও এতে কোন কোলেস্টেরল নেই।
কলাকে বলা হয় এনার্জির পাওয়ার হাউজ। হেলথ এক্সচেঞ্জ তাদের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে প্রতিদিন কলা খেলে মিলবে নানা ধরনের উপকার চলুন সবাই জেনে নিন সেগুলো কি। নিয়মিত কলা খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে কলা অনেক বেশি পরিমাণে ভূমিকা রাখে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি। কলা আমাদের ত্বকের কোলাজেন তৈরি করতে অনেক সাহায্য করে। এটি আপনার ত্বক ভালো রাখতেও অনেক বেশি পরিমাণে সাহায্য করবে।
কলা খাওয়ার সঠিক সময়
আপনারা অনেকেই আছেন যারা কলা খেতে অনেক ভালোবাসেন। কিন্তু কলা খাওয়ার সঠিক সময় কোনটা তা অনেকেই জানেন না। সকালে নাস্তার সময় কলা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। তবে সকালের খাবারে শুধু কলা খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে পছন্দের নাস্তার আগে বা সঙ্গে কলা খাওয়া যেতে পারে।
সকালের খাবারের শুধু কলা খেতে পছন্দ করেন অনেকেই কিন্তু অভ্যাস ত্যাগ করাটাই উচিত । এর কারণ হচ্ছে কলায় প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রাকৃতিক গ্লুকোজ থাকে। সকালে খালি পেটে কলা খেয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেড়ে যায় ।তাই সকালের নাস্তা শুধু কলা না খাওয়াই ভালো।কলা হচ্ছে ফাইবার ভিটামিন এবং খনিজ গুলির অনেক ভালো একটি উৎস।
একটি মাঝারি আকারের কলায় প্রায় ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে। কলায় প্রচুর পরিমাণে ন্যাচারাল সুগার থাকে। তাই খালি পেটে কলা খাওয়াকে সবাই এড়িয়ে চলবেন। নিয়মিত কলা খাওয়ার কারণে আপনার শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এই কারণে দুই টাইপের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
এর পাশাপাশি একটি উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেলে ওজনও বেড়ে যেতে পারে। তাই অতিরিক্ত কলা খেলে ওজন বেড়ে যায়। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে সকালে খালি পেটে কলা না খেয়ে আপনারা কোন কিছু খাওয়ার পরে যখন ইচ্ছা তখনই কলা খেতে পারেন।
বেশি পাকা কলা খেলে কি হয়
অতিরিক্ত পাকা খেলে রক্তনালীতে থাকা ব্লক দূর করে স্টক ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে। বেশি পাকা কলায় সোডিয়াম ও পটাশিয়াম অনেক বেশি মাত্রায় থাকে। তাই নিয়মিত পাকা কলা খেলে স্বাভাবিকভাবে আপনার রক্তচাপ বাড়বে এটা বোঝাই যাচ্ছে। বেশি পাকা কলা তে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি এনিমিনিয়া বা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।
নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে এটি আপনার ক্যান্সারের মতো রোগ কেউ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে বেশি পাকা কলা। বেশি পাকা কলা এর উপর যে কালো দাগ পড়ে তার টিউমার নেক্রসিস ফ্যাক্টর নাম নামের উপাদান তৈরি করে। যা শরীরের ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করে দেয়। নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে এটি আপনার শরীরের শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি করে দেয়।
শরীরচর্চা করার পর অতিরিক্ত পাকা কলা খেলে মাত্র দুই তিন মিনিটের মধ্যে আপনাদের যে শক্তি ক্ষয় হয় সেটি পূরণ করে দেয়। কলাই আছে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইডেট ভিটামিন সি ভিটামিন ডি এবং সুগার এগুলোই আপনার শরীরের সব রকমের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। নিয়মিত কলা খাওয়ার কারণে আপনার শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সহায়তা করে।
দিনে সর্বোচ্চ কয়টা কলা খাওয়া উচিত
মানুষের শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্তে খারাপ প্রভাব পড়েবে। এজন্য একই দিনে দুইটি মাঝারি আকারের কলা না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যাদের এসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাদের কলা খাওয়া উচিত নয়। কলা এসিডিটিকে অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। কলা পুষ্টি গুণে ভরপুর একটি ফল। হজমের সমস্যা সমাধানের জন্য কলা খাওয়া ভালো বলে মনে করা হয়।
ব্যায়াম করার আগে বা সকালের নাস্তায় কলা খাওয়ার সবচেয়ে ভালো বিকল্প। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি প্রতিদিন কতগুলি কলা খাচ্ছেন। নিয়মিত কলা খাওয়ার কারণে আপনার স্বাস্থ্য এবং ওজন বেড়ে যাবে। কলা অনেক কেবলই সমৃদ্ধ বলে মনে করা হয়।
এই কারণে এটি ক্ষুধা দূর করতেও অনেক সাহায্য করে। একই সঙ্গে এটি ওজন বৃদ্ধিতে একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনার দিনে কতগুলো কলা খাওয়া উচিত বা খাওয়া উচিত নয় তার কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। কিন্তু প্রতিদিন এক থেকে দুইটি কলা শরীরের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করা হয়।
আমার মতামত
নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। তবে আমরা সবাই জানি যে কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। এজন্য আপনারা সুস্বাস্থ্য এবং আপনাদের শরীরের প্রাথমিক যে চর্চাটি আছে এটি করার জন্য প্রতিদিন এক থেকে দুইটি মাঝারি আকারে কলা খাবেন। এটি আপনার শরীরের সকল ঘাটতি দূর করে দিবে বলে আমি মনে করি।
বেশি পাকা কলা খেলে আপনার শরীরের জন্য এটি আরো অনেক বেশি উপকারী। যারা যারা আমার এই পোস্টটি পড়েছেন তারা অবশ্যই নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে ধারণা পেয়েছেন। আপনি কি নিয়মিত কলা খাওয়ার কারণে কোন সমস্যা সম্মুখীন হয়েছেন? অবশ্যই আমাকে আপনার একটি সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url