প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে কি হয়? লবঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটে। লবঙ্গ ক্যান্সার, শরীর ব্যথা, যকৃতের সমস্যা ও কলেরা থেকে শরীরকে রক্ষা করে। প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। লবঙ্গের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ যেকোনো জীবাণুকে মারতে ভূমিকা রাখে।

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা ও মাড়ি ক্ষয় নিরাময়ে বেশ কার্যকর। লবঙ্গের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে কিছু বিক্রিয়া করে নিমিষে দাঁতের যন্ত্রনা কমিয়ে দেয়। পেট ফাঁপা ও পেটের অসুখ নিরাময়ে লবঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ব্রণে চিকিৎসায় লবঙ্গের ব্যবহার বেশ পুরানো। লবঙ্গের পেস্ট ব্রণের ওপর দিয়ে রাখলে দাগ চলে যায়। 

সর্দি কাশি ও ঠান্ডা প্রতিরোধ লবঙ্গ কে মহৌষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। যাত্রাপথে বমি বমি ভাব দূর করতে মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখা যেতে পারে। এটি মুখে সুগন্ধি তৈরি করে বমি বন্ধে বেশ কাজ করে। বমির ভাব দূর করতে মুখে লবঙ্গ নিয়ে চুষতে পারেন। 

পিপাসায় বারবার পানি পানের বিড়ম্বনা এড়াতে সকালে ও বিকেলে লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। এতে পিপাসা জনিত রোগ দূর হবে। লবঙ্গ চিবিয়ে রস খেলে বা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে ঠান্ডা লাগা, এজম্‌ গলা ফুলে উঠা, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে বেশ সুফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে পেটের রোগ বা জ্বর সহ নানা রোগে আক্রান্তের ফলে খাবারের অরুচি দেখা দিলে লবঙ্গ এর গুড়া করে সকালে খালি পেটে এবং দুপুরে খাবারের পরে খেলে রুচি ফিরে আসবে।

লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাস সব মারা যায়। ফলে ভাইরাস ফিরবার প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। ঠান্ডায় কোন অংশ ফুলে উঠলে লবঙ্গে খেতে পারেন। প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে শরীর ফোলা কমে যাবে।

লবঙ্গ খাওয়ার অপকারিতা

উপকারিতা পেতে বেশি বেশি লবঙ্গ খাওয়া অনুচিত। গবেষণায় দেখা গেছে অনেকেই অকারণে মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখেন যা উপকার হচ্ছে অপকারই দেখে আনতে পারে। অনেকের রক্তের শর্করার মাত্রা কম তারা কখনোই বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খেতে পারবেন না। কেননা এটি হাইপারগ্লাইসিমিয়ার কারণ হতে পারে।

আবার যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে সেক্ষেত্রে লবঙ্গ খাওয়ায় চুলকানির সমস্যা বা র‌্যাশ দেখা দিতে পারে।লবঙ্গ এর উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই রয়েছে। পরিমাপের অতিরিক্ত মাত্রায় লবঙ্গ খেলে শরীরে লাভের থেকে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। লবঙ্গের তেল ব্যবহারের ফলে খিচুনি, লিভারের সমস্যা, ভারসাম্যহীনতার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। লবঙ্গে থাকা ইউজেনল রক্ত জমাট বাঁধাকে ধীর করে।

লবঙ্গের তেল খেলে অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে রক্তে সর্কারার পরিমাণ কম থাকলে কখনোই লবঙ্গ বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়। যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের লবঙ্গ ব্যবহারের দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে লবঙ্গ ব্যবহারের ফলে চুলকানির দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতি তে লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। শরীর সুস্থ্য রাখতে প্রতিদিন ১টি বা ২টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত এর বেশি খাওয়া উচিত না।

লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম

প্রত্যেক দিন ব্যক্তির রাতে ঘুমানোর আগে ১টি লবঙ্গ ও ১ গ্লাস গরম পানি পান করলে বিভিন্ন ধরনের রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে সহজেই। লবঙ্গ হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। যেমন- গ্যাস, বমিভাব এবং বদহজমের মতো অনেক সমস্যায় লবঙ্গ খুব উপকারী। এছাড়াও লবঙ্গ প্রতিদিন খেলে গলায় সংক্রমণ হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

এটি চিবিয়ে রস গিলে খেলে বা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে ঠান্ডা লাগা, অ্যাজমা, সর্দি, কফ, গলা ফুলে ওঠা আর শ্বাসকষ্টে বেশ সুফল পাওয়া যায়। সাইনোসাইটিস রোগীদের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে লবঙ্গ ব্যবহার করেন অনেকে। সাইনাসের কষ্ট কমাতে লবঙ্গের বিশেষ উপাদান ইগুয়েনাল সাহায্য করে। মাথাব্যথা ও মাথা যন্ত্রণা কমাতে লবঙ্গের জুড়ি নেই।

পেটের যে কোনও রোগ সারাতে লবঙ্গ হল সেরা উপাদান। প্রতিদিন সকালে, খালি পেটে ২টি করে লবঙ্গ চিবিয়ে খান। পেট পরিস্কার, পেট ব্যথা, গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য সারিয়ে তুলতে এর কোনও তুলনা হয় না।লবঙ্গে রয়েছে ইউজেনল। এটি আসলে একপ্রকার আ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। মাথাব্যথা, যন্ত্রণা বা মাথা ধরে থাকার মত সমস্যা দেখা দিলে লবঙ্গের উপাদানগুলি বেশ কাজে লাগে। এক গ্লাসে দুধে র মধ্যে লবঙ্গের পাউডার গুলে খেতে পারেন। এছাড়া লবঙ্গের তেলও সমান কার্যকরী।

অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে কি হয়

প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম, তাদের কখনোই বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খেতে নেই। কেননা, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লবঙ্গ সেবন হাইপারগ্লাইসিমিয়ার কারণ হতে পারে। অনেক চিকিৎসকই মনে করেন, যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে লবঙ্গ সেবনে র‌্যাশ বা চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লবঙ্গের তেল খেলে অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা থাকলে কখনোই বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়া উচিত নয়। এমন রোগীদের অতিরিক্ত লবঙ্গ সেবনের ফলে হাইপারগ্লাইসিমিয়ার হতে পারে। অপর দিকে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে লবঙ্গ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরেকটু বেশি সচেতন থাকা প্রয়োজন। 

অনেকক্ষেত্রে এর ব্যবহারে র‌্যাশ বা চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন একটি বা দুটি লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি না খাওয়া উত্তম

আমার মতামত

প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয়. আমরা অনেক রোগ ব্যাধি থেকে নিস্তার পাই। এজন্য আমাদের প্রতিদিন লবঙ্গ খাওয়া উচিত। কোন জিনিসই যেমন অতিরিক্ত ভালো না তেমনি আমাদের অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া উচিত না। এতে আমাদের শরীরের অনেক রকমের ক্ষতি হয়ে থাকে। এজন্য আমরা কোন কিছুই অনিয়ম করে খাব না।

প্রিয় পাঠক যদি আমার আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রতিদিন আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং আপনার একটি সুন্দর মন্তব্য জানিয়ে যান এবং আমার আর্টিকেলটি আপনার অন্য ফ্রেন্ডের সঙ্গে শেয়ার করে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url