প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন ২০২৪

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নিয়ম জানার জন্য আমরা অনেকেই আগ্রহী প্রকাশ করি। আপনাদের এ আর্টিকেলের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন নিয়ম
তাছাড়া এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি আরো অনেক বিষয় জানতে পারবেন সেগুলো হল প্রবাসী কল্যাণ ঋণের প্রকারভেদ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পেতে কি কি কাজ পত্র লাগবে কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ অনুমোদন এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন সুদের হার সম্পর্কে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন নিয়ম

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রীতিপক্ষ আবেদন পত্র ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে ঋণ অনুমোদন করে থাকে। আর সেজন্য আবেদনকারীর ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা ঋণের উদ্দেশ্য ও জামিনের যোগ্যতা অনুযায়ী সবকিছু সঠিক হলে কৃতপক্ষে ঋণ অনুমোদন দিয়ে থাকে। এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন আবেদন করার জন্য দুইজন জামিনদারের এক কপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি তাদের এর আইডি কার্ডের ফটোকপি।

বর্তমান ও ইফতার ঠিকানা সংবলিত ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র। জামিনদার এর যেকোনো একজনের সই কারা ব্যাংকের তিনটি চেকের পাতা ও জমা দিতে হয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে সূত্রে জানা গেছে ঋণের আবেদন প্রক্রিয়া শেষে কৃতপক্ষে উক্ত আবেদনকারী কে মুঠোফোন অথবা এস এম এস এর মাধ্যমে অনুমোদন হলো কিনা সেটি জানাবে।

বর্তমানে এই ব্যাংকের ১২০ টি শাখা রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূল্য ধান ৫৫০০ কোটি টাকারও বেশি। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওপরে বর্ণিত সবগুলো কাগজপত্র তৈরি থাকলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কৃতপক্ষে আপনাকে খুব সহজেই ঋণ প্রদান করে থাকবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন পেতে যে সকল কাগজপত্র লাগবে

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই ব্যক্তির বৈধ ভিসা থাকা জরুরী। তবে এক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং নিজে নিজে করতে হবে। ভিসার ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে কোনরকম সাহায্য করবে না। যে ব্যক্তিটি বিদেশে যেতে ইচ্ছুক তাকে প্রথমে ভিসার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করার মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে কৃতপক্ষে কাছে ফরম পূরণের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে আবেদন করার জন্য কোনরকম টাকা চার্জ করে না। আবেদন করার পূর্বে ব্যক্তিকে একটি হিসাব খুলতে হবে। বৈধ ভিসা থাকার পাশাপাশি বিদেশ গামী ব্যক্তিকে যে কোম্পানি কাজ দিবে সেই কোম্পানির একটি নিয়োগ পত্র লাগবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও প্রয়োজনে মূল কপি। বিদেশগামী ব্যক্তি সত্যায়িত চার কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি।

ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা থেকে স্থায়ী হোক ঠিকানা সংবলিত সনদপত্র। বর্তমান ঠিকানা ও ঠিকানা। পাসপোর্ট ও ভিসার কপি। যে কোম্পানিতে কাজ করার জন্য সেই কোম্পানির নিয়োগ পত্রের কপি। ম্যানপাওয়ার কার্ডের ফটোকপি।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন পেতে এগুলো কাগজপত্র লাগবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ঋণের প্রকারভেদ

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নিয়ম জানার আগে আমাদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানা জরুরী। সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করে থাকে সবগুলো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণের প্রকারভেদ তুলে ধরা হলো যেমন কর্মসংস্থান ঋণ পূর্ণবাসন ঋণ শিক্ষা ঋণ অভিবাসন ঋণ গৃহ ঋণ ব্যবসায়ী ঋণ স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন সুবিধা

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন সুবিধা গুলো হলো তথ্য সঠিক হলে দ্রুত ঋণ প্রাপ্তি সুযোগ। সহজ তর আবেদন প্রক্রিয়া। সুদের হার তুলনামূলক কম হওয়ায় কিস্তি পরিশোধ সহজযোগ্য। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ১৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে তা আবেদনকারীর জন্য একটি অন্যতম সুবিধা।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন নেওয়ার  নিয়ম
এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণের অসুবিধা রয়েছে যেমন জামিন প্রদানের প্রয়োজনীয়তার জন্য জামিনদার সহ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের উপস্থিতিত হতে হয় যা অনেক সময় জামিনদার না পাওয়ার দরূণ প্রধান ব্যাহত হয়। আবার সময়মতো কিস্তি পরিশোধ না করলে জরিমানা গুনতে হয়। ঋণের ওপর বিভিন্ন ফ্রি থাকার কারণে এক্সট্রা কিছু টাকা কৃতপক্ষ চার্জ করে থাকে।

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়

অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে বাংলাদেশে কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়। আসলে আলাদাভাবে প্রবাসীদের কোন ব্যাংক লোন দেয় না। একমাত্র প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদেরকে লোন দিয়ে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া কর্মসংস্থান ব্যাংক প্রবাসীদেরকে লোন প্রদান করে থাকে। আশা করি কোন কোন ব্যাংক প্রবাসীদের লোন দেয় সে সম্পর্কে উত্তর পেয়ে গেছেন এখন আমরা আরো জানবো প্রবাসী সম্পর্কে কল্যাণ ব্যাংকের লোন সুদের হার সম্পর্কে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন সুদের হার

আপনারা যদি ঋণ নিতে চান তাহলে জানতে হবে প্রবাসী কল্যাণ সুদের হার কত। তাই প্রবাসী কল্যাণ ঋণের সুদের হার ঋণের পরিমাণ এর ওপর নির্ভর করে। তবে বর্তমানে তথ্য পাওয়া গেছে যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ৮% থেকে ১২% সুদের হার নির্ধারণ করেছে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলাতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা রয়েছে। নিজ নিজ জেলার বাসিন্দা উক্ত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করে তবে নিয়ম অনুসারে দিনের ধরন ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
এবং সেটা অবশ্যই পরিবর্তনশীল তাই বিদেশগামী ব্যক্তিকে আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওয়েবসাইট অথবা হেল্পলাইনের কথা বলে ঋণের নতুন নিয়মাবলী সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে আবেদন করা উচিত।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের নিয়ম

ব্যাংকে কৃতপক্ষ মাসিক কিস্তিতে সুদ গ্রহণ করে থাকে। তবে আবেদনকারী কে অবশ্যই প্রতি মাসে মাসিক কিস্তির সময় মতো পরিশোধ করতে হবে অন্যথায় জরিমানা প্রযোজ্য করা হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণের জামির

যদি অল্প পরিমাণে ঋণ গ্রহণ করা হয় তাহলে জামিনদার প্রয়োজন হয় না। তবে ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে জামিন প্রদান করা বাধ্যতামূলক। জামিনদার আবেদনকারীর বন্ধু বা নিকট আত্মীয় হতে পারে। এক্ষেত্রে জামিনদারের আয় ও সম্পত্তির ওপর ঋণের পরিমাণ এবং অনুমোদন পাবে কিনা সেটি নির্ভর করে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণের মেয়াদ

দিনের মেয়াদ ঋণের ধরন ও পরিমাণে ওপর নির্ভরশীল তবে উচ্চ দিনের মেয়াদ ১৫ বছর।

আমার মতামত

প্রিয় পাঠক বিন্দু আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ আমারে আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতিনিয়ত দিয়ে থাকি। এই রকমের আরো পোস্ট পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন প্রতিদিন।

আর হ্যাঁ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন নেওয়ার নিয়ম এই পোস্টে আপনাদের কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি দিতে ভুলবেন না। তার সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে যদি যথাযথ তথ্যবহুল বলে মনে হয় তাহলে একটি শেয়ার করতে পারেন ।আপনার একটি শেয়ার আমার কাছে অনেক অনুপ্রেরণা যোগান দিই.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url