পানি খেলে আমাদের শরীরে যেসব ঘাটতি পূরণ হয় এবং পানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

শরীর সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই।পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে আমরা অনেক রোগ বালাই থেকে মুক্তি পেতে পারি।ত্বকের সুস্থতায় ডিটক্স ওয়াটার অনেক উপকারী।
পানি খেলে আমাদের শরীরে যেসব ঘাটতি পূরণ হয় এবং পানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আর ডিটক্স ওয়াটার হজম শক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ডিটক্স ওয়াটার খেলে শরীরে ভিটামিন সির ঘাটতি পূরণ হয়। শরীরে থাকা উৎপাদন এবং ফ্যাট একসঙ্গে হলে এ ফ্যাট বার্ন করা কষ্ট সাধ্য।

শরীরে পানি ঘাটতি পূরণ করে যেসব পানীয়

পানির কোন বিকল্প নেই। পানির অপর নাম জীবন। সমস্ত ধরনের প্রাণের বেঁচে থাকার জন্য পানি অপরিহার্য। পানি ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব না। পৃথিবীতে ১৭.৯% অংশ জুড়ে পানির অস্তিত্ব রয়েছে।শরীর সুস্থ রাখতে চুলের সমস্যা বা ত্বকের কিংবা পচনতন্ত্রের সবকিছু পারফেক্ট রাখতে সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া খুব জরুরী।

একজন মানুষ পানি ছাড়া ঘরে মাত্র তিনদিন বেঁচে থাকতে পারবে। শরীরে পানি ঘাটতি পূরণ করতে যেসব পানীয় খাবেন যেমন গ্রিন টি লেবুর রস স্যুপ ফলের রস হলুদ দুধ ভেষজ চা ফ্রেশদ চা যেমন জবা ফুলের চা গোলাপ চা ক্যামোমাইল চা কে চমৎকার হাইড্রেটিং পানীয় বলা হয়। এই পানিওগুলো ক্যাফিনমুক্ত ভাই এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে এবং মনকে শিথিল করে। চিয়া পানীয় চিয়া বীজ খাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হল ো এটি পানিতে ভিজিয়ে রেখে পান করা।

তীব্র গরমে শরীরে পানিশূন্যতা রোধে উপকারী যেসব ফল

এই অসহ্য গরমে ঘামের সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় পানি অনেকটাই বের হয়ে যায়, সেই ঘাট্টি পূরণ না হলে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা। বিজ্ঞানীদের মতে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে পানির পাশাপাশি খনিজ পদার্থেরও ঘাটতি হয়। এ সময় ডাব আখের রস ইত্যাদি পানিও পানি এই ঘাটতি অনেকখানি পূরণ হতে পারে।
পটাশিয়াম এর অভাব পূরণের জন্য নিয়মিত পাকা কলা ও খেতে পারে। শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করতে যেসব ফল উপকারী যেমন লেবু তরমুজ টমেটো শসা ইত্যাদি। লেবুতে থাকা পটাশিয়াম শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ঘামের কারণে শরীরে খনিজের যে ঘাটতি তৈরি হয় তার অনেকটাই পূরণ করে লেবু। লেবুর প্রায় ৮৮ শতাংশ পানি।

তরমুজে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি পানি থাকে। এটি শরীরের জলের অভাব পূরণ করে। ফলে পানি শূন্যতা রোধে এটি হতে পারে একটি উপকারী খাবার। বিজ্ঞানীদের মতে নিয়মিত টমেটো খেলে ক্যান্সার হৃদরোগ ও অটোইমিউন ডিসঅর্ডারের ঝুঁকিও কমতে পারে। টমেটো কাঁচা খেলে বেশি উপকার পাবেন। শসা পানি শূন্যতা রদ করতে সাহায্য করে। শসার প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি। শসা খেলে গরমে শরীর ঠান্ডা থাকে।

প্রতিদিন কতটা পানি পান করা উচিত

আমাদের শরীরে প্রায় তিন ভাগে দুই ভাগই পানি। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পানি পানির বিকল্প নেই। প্রতিদিন আর্ট গ্লাস বা প্রায় ২ লিটার পানি পান করলে আমাদের শরীর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আর্দ্র থাকে সাম্প্রতিক গবেষণা বলেছে। এর পরিবর্তে আপনার প্রতিদিন দেড় লিটার থেকে এক লিটার ৮০০ মিলিলিটার পানি পান করা উচিত। অর্থাৎ ফাইভ গ্লাস থেকে সাত গ্লাস কিংবা তার সামান্য কিছু বেশি।
পানি খেলে আমাদের শরীরে যেসব ঘাটতি পূরণ হয়
যারা কায়িক পরিশ্রম বেশি করে তাদের বেশি পানি পান করতে হবে। যারা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘামের তাদের জন্য একটু বেশি পানি পান করা জরুরী। সাধারণভাবে যখনই পানির তৃষ্ণা তৈরি হবে তখন এ পানি পান করে শরীরে ঘাটতি মেটানো উচিত। পর্যাপ্ত বয়স্ক ও কর্মক্ষম নারী-পুরুষের প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন।

পানি কম খেলে শরীরের যেসব ক্ষতি হবে

পানি কম খেলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিবে। শরীরের বানী শূন্যতা হলে মনোমেজাজ খারাপ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে পানি শূন্যতা ঘনত্ব হ্রাস স্মৃতির সমস্যা এবং ক্লান্তি অনুভূতি বাড়ে। কারণ পানি শূন্যতা হলে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ কমে যায় এর প্রভাব সারা শরীরে পড়ে। পানি শূন্যতার ফলে শরীরের রক্তের পরিমাণ কমে যায়।
এইজন্য শরীরে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ ব্যবহৃত হয়। এর ফলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। শীতে ঘাম হয় না ও পিপাসা ও কম পায়। এই কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এর ফলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। শরিলে পানি শূন্যতা হলে হজমের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী ও ডিহাইড্রেশন গ্যাস্ট্রাইটিস এবং আলসারের মতো আরো গুরুতর হজম সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে পারে।

শরীরে পানি শূন্যতা কিভাবে বুঝবেন

শরীরে যখন পর্যাপ্ত পানি বা তরল থাকে না তখন দেখা যায় কিছু লক্ষণ। প্রসাবের রং হালকা হলুদ থেকে গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। এবং তাতে তীব্র দুর্গন্ধ পানি শূন্যতা নির্দেশ করে। পরে প্রসাব করার সময় জ্বালাপোড়া করে। কোষ্ঠকাঠিন্য বুক জ্বালাপোড়া এবং বদ হজমের মত পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা পানি শূন্যতার লক্ষণ।

শরিলে পানি শুন্য তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে মাথা ধরা ও ক্লান্তি ভাব হয়ে থাকে যা পানি শূন্য তার কারণ। শরীরে পানি শূন্যতা হলে মন সংযোগে অসুবিধে হবে এবং বিরক্তির মাত্রা বাড়বে। শরিলে পানি শূন্যতা হলে ত ক মুখ শুকনো হয়ে যাওয়া।পানি শূন্যতা হলে মাথা ব্যাথা খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে। পানি শূন্যতা হলে মুখে দুর্গন্ধ হবে। এবং পানি শূন্যতার কারণে কম প্রসাব হতে পারে। পানি শূন্যতা হলে মাথা ঘোরা বিভ্রান্তি এমনকি অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানের উপকারিতা

নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী।পর্যাপ্ত পানি খেলে কিডনি যকৃৎ হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ক ভালো থাকে। পানি খেলে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে শরীর স্বাভাবিক রাতে সাহায্য করে। পানি শরীরের ভেতরের কোষগুলোকে সফল ও স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। শরীরে যদি পানি পানির ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে এই কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানের উপকারিতা
তবে অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি পানের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পানি যদি বিশুদ্ধ না হয় তাহলে ডায়রিয়া কলেরা টাইফয়েড এর মত পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত উপহার আশঙ্কা থাকে। আধাঘন্টা ভালো করে ফুটিয়ে তারপর ঠান্ডা করার মধ্য দিয়ে পানি জীবাণুমুক্ত হতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পান খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে হজমে সহায়তা করে ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে ক্লান্তি দূর করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url