লিচু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

লিচুতে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম ও পানি থাকায় কিডনিতে পানি জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। লিচু ইউরিক এসিডের ঘনত্ব কমায়। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কার্যকরী একটি খাবার লিচু। লিচু রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
লিচু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

লিচু খাওয়ার উপকারিতা

লিচুতে ফাইবার ও প্রচুর পানি থাকে যা হজমের জন্য দারুন কাজ করে। লিচু ত্বকের বলি রেখা দূর করে। বয়সে সাব করতে দেয় না এবং ত্বক উজ্জ্বল করে। গরমে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে পেটকে স্বস্তিতে রাখে। লিচুতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস আয়রন কপার এবং ম্যাংগানিজ। যা হারে ক্যালসিয়াম শোষণের সাহায্য করে। লিচুতে ক্যালরি খুব কম তাই ওজন বাড়ার আশঙ্কা নেই। ভিটামিন সি এর পাশাপাশি ভিটামিন কে এবং ই পাওয়া যায় লিচুতে।

এতে কম মাত্রায় রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিন রয়েছে।গরমে নিয়মিত লিচু খেলে দৈহিক ভিটামিন বি৬ এর চাহিদা ১০ শতাংশ পাওয়া যায়। এতে লোহিত রক্ত কণিকায় তৈরিতে সাহায্য করে এবং প্রদাহজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে। হার্টের জন্য খুব উপকারী লিচু। এতে রয়েছে অলিগনাল যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করতে সাহায্য করে। এই নাইট্রিক অক্সাইড আবার রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। এতে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা ভাসকুলার ফাংশন উন্নত করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। লিচু উড়ি এসিডের ঘনত্ব কমায় যা কিডনির ক্ষতি ঝুঁকি হ্রাস করে।

লিচু খাওয়ার অপকারিতা

লিচুতে প্রোটিন ক্যালসিয়াম জরুরি ফ্যাটি অ্যাসিড নেই। হলে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে তা শরীরে স্বাভাবিক ব্যালেন্স নষ্ট করে। খালি পেটে লিচু খেলে শরীরে বিক্রিয়া হতে পারে। রক্তের গ্লুকোজ কমে যায়। শরীরেঅতিরিক্ত লিচু খেলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে। দিনে ১০ থেকে ১২ টি লিচু খাওয়া যেতে পারে।
বয়স শরীর অসুস্থতা ইত্যাদি বিষয়ে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিনিয়ত ভাবে লিচু বা যে কোন ফল খেতে হবে। লিচু রক্তের গ্লুকোজ কমায়। ডাইবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত লিচু খেলে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে গেলে হোয়াট সম্ভাবনা থাকে। কিছু লোকের লিচুতে এলার্জি থাকতে পারে। লিচু খাওয়ার পর ত্বকের ফোলা ভাব চুলকানি শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

যদি এগুলো লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে লিচু খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। লিচুতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকাই রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি হতে পারে। যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদের লিচু খাওয়ার পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত।

খালি পেটে লিচু খেলে কি হয়

লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন নামের রাসায়নিক থাকে যা শরীরে শর্করা তৈরি রোধ করে খালি পেটে অতিরিক্ত লিচু খেলে শিশুদের শরীরে শর্করা পরিমাণ অত্যন্ত কমে যেতে পারে। এতে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খালি পেটে অনেকগুলো লিচু খেলে যে পিস তৈরি হয় তার ফলে শিশুদের হঠাৎ কিছু নেই আর বমি শুরু হয়। তারপরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে চাই তারা।

এই কারণে শিশুকে খালি পেটে লিচু দেওয়া যাবে না। খালি পেটে লিচু খাওয়া যাবেনা বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকেরা। এটি মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। আমরা যখন খালি পেটে থাকি তখন স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরের শর্করা পরিমাণ কমে যায়। এ সময় লিচু খাওয়া হলে হাইপোগ্লাইসিন নামক উপাদানটি শরীরে শর্করা পরিমাণ একেবারে শূন্যে নিয়ে যায়। যে কারণে দেখা দেয় বিষক্রিয়া। তাই এই বিষক্রিয়া থেকে বাঁচতে খালি পেটে লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

লিচুর পুষ্টি উপাদান গুলো

লিচু একটি গ্রীষ্মকালীন ফল তাই সাধারণত গ্রীষ্মকালে এই ফল পাওয়া যায়। লিচু খুব সুস্বাদু রসালো ও মিষ্টি ফল। লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক উপাদান। লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস আইরন ম্যাঙ্গানিজ এবং ফাইবার। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে থাকে ১৩.৬ গ্রাম, শর্করা ক্যালোরি ৬০ ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, লোহা ০.৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৩১ মিলিগ্রাম।
লিচু খাওয়ার উপকারিতা
প্রায় মাঝারি আকারে দশটি লিচু একশ গ্রাম লিচু বোঝায়। পুষ্টিগুণ কাঁচা লিচুর শাঁসে ৮২ %পানি, ১৭% শতকরা, এক পার্সেন্ট আমিষ ও ,সামান্য স্নেহ থাকে। প্রতি ১০০ গ্রামে ৭১ মিলিগ্রাম যা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয়তার ৮৫% ।

আমার মতামত

 রিসু আমরা সকলে কমবেশি খেতে পছন্দ করি। লিচু হচ্ছে অনেক সুস্বাদু একটি ফল। লিচু খেতে পছন্দ করে না এরকম লোক খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা লিচু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কের না জেনে অতিরিক্ত  পরিমাণের লিচু খেয়ে ফেলি।
এর ফলে আমাদের শরীরের অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। সব জিনিসের যেরকম ভালো দিক আছে তেমনি সব জিনিসেরই কমবেশি খারাপ দিকে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সবাই কোন কিছু অতিরিক্ত করবেন না যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই খাবেন। প্রিয় পাঠক যদি আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতিনিয়ত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url