কুরবানী দেওয়ার সঠিক নিয়ম

কোরবানি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ফজিলতময় ইবাদত। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার ইবাদতের জন্য পশুর জবাই করাই কোরবানি। ঈদুল আযাহার অবিচ্ছেদ্য অংশ কোরবানি। আর কোরবানির অবিচ্ছেদ্য অংশ সুস্থ সবল পশু।
কুরবানী দেওয়ার সঠিক নিয়ম
আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার ইবাদতের জন্য এই পশু জবাই করার নামই কোরবানি, যা প্রতিটি সামর্থ্যবান নর-নারীর ওপর ওয়াজিব। এই ঈদুল আযহা হজের একটি অংশ। তাই যারা হাজী তাদের কোরবানি করতে হয়। আজ যারা হজে গমন করেন নি তারা তাদের ওপর ওয়াজিব হলে নিজ নিজ স্থানে অথবা সুবিধাজনক স্থানে কোরবানি করবেন।

কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম

আমাদের নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। তোমরা যখন জবাই করবে তখন ইহসানের সাথে জবাই কর। আর তোমাদের ছুটিগুলো খুব ভালোভাবে ধারালো করে নাও যাতে তোমরা তোমাদের জবাইকৃত পশুকে আরাম দিতে পারো। আমাদের দেশে গরু ছাগল মহিষ ভেড়া উট ইত্যাদি দিয়ে কোরবানি করা হয়। কোরবানি কিভাবে দিতে হয়,কোরবানির পশু শোয়ানোর পর জানো কেবলামুখী হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

পশ্চিম দিকে যেহেতু আমাদের কিবলা সেই হিসেবে পশ্চিম দিকে যাতে পশুর মুখ হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখবো। অর্থাৎ পশুকে বা পাঁজরের ওপর দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে কেবলামুখী করে শোয়াতে হবে। এভাবে পশুকে শোয়ানো উত্তম। পশুটিকে এমন ভাবে ধরতে বা বেঁধে নিতে হবে যেন জবায়ের সময় পশুগুলো বারবার ছুটতে না পারে। উটের ক্ষেত্রে নাহর করা যায়। বিষয়টি হলো দাঁড়ানো অবস্থায় বুকের দিক থেকে ঘাড় পর্যন্ত চলে যাওয়া প্রধান রক্ত বাহির রগ কেটে দেওয়া হয়। না হয় করলে রক্তক্ষরণ হতে হতে উট নিস্তেজ হয়ে মাটিতে ঢোলে পড়ে এবং মৃত্যু হয়।

উটকেও সোয়া অবস্থায় জবাই করা যায়। জবাই করার সময় যাতে পশু কষ্ট না পায় সেজন্য যে ছুরিটি ব্যবহার করা হবে তা আগে ভাগেই শান দিয়ে খুব ধারালো করে নিতে হবে। পশুর গলায় ছুড়ে চালানোর সময় বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলতে হবে। শুধু বিসমিল্লাহ বললেই চলবে। যে বা যারা কোরবানির পশু জবাই করবেন বা ধরবেন তারা পবিত্র বা অজু অবস্থায় থাকবেন। কাপড় শালীনভাবে পরিধান করবেন।
যিনি বা যার পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া হচ্ছে তার নিজের হাতে জবাই করা উত্তম। অভ্যাস না থাকলে অন্য যে কেউ জবাই করলেও হবে। ছুরি ডান হাতে অথবা উভয় হাতে ধরা ভালো। কোনক্রমে শুধু বাঁ হাত ব্যবহার করে জবাই করা উচিত নয়। চুরি চালানোর সময় পশুর গলার মূল তিনটি অঙ্গ কেটে দিতে হবে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে খাদ্যনালী দ্বিতীয়টি শ্বাসনালী এবং তৃতীয়টি হচ্ছে শ্বাসনালী দুই পাশে দুটি রোগ রয়েছে সে দুটি। এভাবে জবাই করা সুন্নত।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উল্লেখিত হাদিসটির মাধ্যমে আমরা যা বুঝি তা হচ্ছে পশুকে আরামের সঙ্গে জবাই করতে হবে। যাতে সে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে।সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে আমাদের কোরবানির সম্পূর্ণভাবে সঠিক হয় এবং এর জবাই প্রক্রিয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর দেখানো সুন্নত মতে হয়।

ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম

ইসলাম ধর্মে কোরবানির ইতিহাস বেশ প্রাচীন। পবিত্র কোরআন শরীফে কোরবানি সম্পর্কে একাধিক সূরার উল্লেখ আছে। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি বিধানে কেউ একা কোরবানি দিবেন। আবার কেউ শরিকে বা ভাগে কোরবানি করেন। তবে ইসলামী শরীয়তে শরিকে কোরবানি করার ব্যাপারে কিছু বিধান রয়েছে। গরু মহিষ উট এজাতীয় যে পশুগুলো কোরবানির জন্য বৈধ সেগুলোর মধ্যে ভাগে কোরবানি দেওয়া জায়েজ। নবী করিম (সা.) সাত ভাগ পর্যন্ত কোরবানি দেওয়ার অনুমোদন করেছেন।

সহীহ মুসলিমের একটি হাদিস দ্বারা বোঝা যায় রাসুল (সা.) উটের মধ্যে দশ ভাগ পর্যন্ত কোরবানি দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। সুতরাং এই ক্ষেত্রে ভাগে কোরবানি করা জায়েজ নাজায়েজ নয়। এটি প্রায় সব ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য। তবে এই বিষয়ে বেশ কিছু বিক্ষিপ্তি বা বিচ্ছিন্ন বক্তব্য রয়েছে। এই সকল বক্তব্য মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া এসবের পক্ষে সামান্যতম কোন বর্ণনা নেই। কেউ কেউ বলেন যে ভাগে কোরবানি দেওয়া জায়েজ নয়। যাবেন ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত সহীহ মুসলিমের রেওয়াতে রে মধ্যে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে রাসূল (সা.) ভাগে কোরবানি দেওয়ার ব্যাপারে রুখসাত বা অনুমোদন দিয়েছেন।
তবে জানা যায় ছাগল ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা শুধু একজনে কোরবানি দিতে পারবে। এইগুলো দ্বারা একাধিক ব্যক্তি মিলে কোরবানি করা সহীহ হবে না। আর উট গরু ও মহিষের সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবে। ১৭ অধিক শরিক হলে কারো কোরবানি সহিহ হবে না। তবে এই শরীকে কোরবানি করলে কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। এমন হলে কোন শরীকেরই কোরবানির সহীহ হবে না। এবং যদি কেউ গরু মহিষ বা উট একা কোরবানি দেওয়ার নিয়তে কিনে আনে আর সে ধনী হয়। তাহলে তার জন্য এ পরশুতে অন্যকে শরিক করা জায়েজ হলেও শরিক না করে একা কোরবানি করায় শ্রেয়। শরিক করলে ওই অংশের টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম।

নামে কোরবানি দেওয়ার বিষয়ে কি বলেছে ইসলাম

আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু উৎসর্গ দেওয়াকে কোরবানি বলে। যার অভিধানিক অর্থ ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদ। কোরবানি ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত। যারা সামর্থ্যবান তাদের জন্য কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহর রাসূল (সা.) প্রত্যক্ষ সামর্থ্যবান মুসলমানকে কোরবানি দিতে উৎসাহ দিয়েছেন।ং কোরবানি শব্দের অভিধানিক অর্থ ত্যাগ, আত্মোৎসর্গ; নৈকট্য লাভ। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কোরবানি হলো জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা।
কুরবানী দেওয়ার সঠিক নিয়ম
এইদিকে পশু জবাই এর আগে অনেকেই অংশীদারদের নাম বলতে দেখা যায়। কিন্তু কোরবানির সময় কোরবানি দাতা দের নাম উল্লেখ করা জরুরি নয়। কেননা কার পক্ষ থেকে পশু কোরবানি করা হচ্ছে সেটি তো পশু কেনার সময় নির্ধারিত হয়ে যায়। অর্থাৎ কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে দেখা হবে মালিকানা কাদের। পশুতে যার যার মালিকানা আছে তারা যাদের নামে কোরবানি আদায় নিয়ত করবেন তাদের নামই কোরবানি হবে। পশু জবাইয়ের সময় কোরবানি দাতাদের নাম উল্লেখ করাও সুন্নত নয়।

কেননা রাসূল (সা.) কোরবানির পশু জবাই করার সময় কার পক্ষ থেকে কোরবানি হচ্ছে তার নাম মুখে উল্লেখ করেননি। তিনি কোরবানির পশু জবাই করার সময় মুখে বিসমিল্লাহ ও আল্লাহ আকবার বলেছেন। তবে কুরবানীর আগে নিশ্চিত হওয়ার জন্য নাম গুলো পাঠ করা যেতে পারে তবে এটি জরুরী বা সুন্নত হিসেবে নয়। এভাবে উল্লেখ্য করলেও হবে যে আমরা অমুক বলছি আমাদের কোরবানি কবুল করুন অথবা সবার তরফ থেকে কুরবানী কবুল করুন।(সহীহ বুখারী-৫৫৫৮, সহীহ মুসলিম -১৯৬৬)

রাসুল (সা.) যেভাবে কোরবানি করতেন

রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরত করার পর কোরবানির বিধান অবতীর্ণ হয়। কোরবানি ধারাবাহিকতা আদম (আ.) এর যুগ থেকে চালু হয়েছে। আল কোরআনে কাবিল ও হাবিলের কোরবানির কথা এসেছে। তাদের দুজনের কোরবানির থেকে হাবিলের কোরবানি কবুল হয়েছিল। আর মুসলিম সমাজের কোরবানি মিল্লাতে ইব্রাহীমে (আ.) অনুসরণ। তা স্মৃতি ধারণের জন্য ও উম্মতের ওপর কোরবানি ওয়াজিব করে দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.)কোরবানির অনেক মর্যাদা বর্ণনা করেছেন।

সাহাবায়ে কেরাম রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করেছেন হে আল্লাহ রাসূল কোরবানির কোথাও কি রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিম (আ.) এর সুন্নত। সাহাবায়ে কেরাম পুনরায় জিজ্ঞেস করেন হে আল্লাহর রাসূল এতে আমাদের কি লাভ রয়েছে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন কোরবানির পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি পাওয়া যাবে। সাহাবায়ে কেরাম পুনরায় জিজ্ঞেস করেন হে আল্লাহর রাসূল সওফ তথা দুম্বা ভেড়া ও উটের পশমের বিনিময় কি এ পরিমাণ সওয়াব পাওয়া যাবে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হ্যাঁ, প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি দেওয়া হবে।
ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৭)। রাসুল (সা.) হিজরতের পর প্রতিবছর কোরবানি করেছেন। মদিনা জীবনে মহানবী (সা.) কখনো কোরবানি ত্যাগ করেননি। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) মদিনায় ১০ বছর অবস্থান করেছেন। প্রতি বছরই তিনি কোরবানি করেছেন। তিনি ঈদগাহেই কুরবানীর পশু জবেহ করতেন। এক্ষেত্রে তিনি নিজেই জবেহ করতেন। প্রখ্যাত তবেই হযরত নাফে (রহ.) ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদগাহে (কুরবানির পশু) জবেহ করতেন ও নাহর (উটের কুরবানি) করতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫৫৫২)। রাসুল (সা.) কিভাবে কোরবানি করতেন এবং করেছেন এসব বিষয়ে হাদিসে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে।

কোরবানির মাংস ভাগ করা সঠিক নিয়ম

কোরবানি ইসলামে মৌলিক ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যেক সামর্থ্যবান পুরুষ নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহ ও তার রাসূলের শর্তহীন অনুগত ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কোরবানিতে। নবীজিকে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ দিয়েছেন আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কুরবানী আদায় করুন।(সুরা কাওসার:২)।

অন্য আয়াতে এসেছে হে রাসুল আপনি বলুন আমার নামাজ আমার কোরবানি আমার জীবন আমার মরন রাব্বুল আলামিনের জন্য উৎসর্গিত। (সুরা আনআম : ১৬২)। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরবানি করা পশুর মাংস ভাগ করার একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মহানবী (সা.) কোরবানির পশুর গোশত ভাগ করার নিয়মও বলে দিয়েছেন। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) , রাসুল (সা.) কোরবানির গোশত এক ভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, এক ভাগ গরিব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ গরিব মিসকিন্ডে দিতেন।
কুরবানী দেওয়ার সঠিক নিয়ম
এছাড়াও ইবন মাসঊদ (রা.) কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে একভাগ নিজেরা খেতেন, একভাগ যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকির মিসকিনদের দিতেন বলে উল্লেখ রয়েছে। কোরবানির মাংস আত্মীয় ও গরিবদের মাঝে বিতরণ না করাটা খুবই গর্হিত কাজ। এতে কৃপণতা প্রকাশ পায়। কারণ কোরবানির মাধ্যমে কোরবানি দাতা অহংকার থেকে নিরাপদ থাকেন এবং তার অন্তর পরিশুদ্ধ থাকে। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন মনে রেখো কুরবানীর জন্তুর গোস্ত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছে না বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে (সূরা হজ : ৩৭)।

আমার মতামত

কোরবানি হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। নিয়তে পরিশুদ্ধতা না থাকলে কোরবানি কবুল হবে না। এমন পশু দ্বারা কোরবানি দিতে হবে যা ইসলামী শরীয়ত নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেগুলো হল উট গরু মহিষ ছাগল ভেড়া ও দুম্বা। এবং জবাই করার সময় যাতে পশু কষ্ট না পায় সেজন্য যে চুরিটি ব্যবহার করা হবে তা আগেভাগে শান দিয়ে খুব ধারালো করে নিতে হবে। পশুর গলায় ছুরি চালানোর সময় বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলতে হবে।

যে বা যারা কোরবানি পশু জবাই করবেন বা ধরবেন তারা পবিত্র বা অজু অবস্থায় থাকবেন। প্রিয় পাঠক আমার আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই ওই আপনারা আমাকে জানাবেন। আমি যদি কোন ভুল বলে বা লিখে থাকি তাহলে আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনারা যদি আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝে গেছেন কুরবানী দেওয়া সঠিক নিয়ম কি। আমার আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url